২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাবির ট্রাজেডিতে নিহতদের ‘শহিদ স্বীকৃতি’র দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট :
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
56
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
ছবি : জাবির ট্রাজেডিতে ২৪ নিহতদের ‘শহিদের স্বীকৃতি’র দাবিতে মানববন্ধন 

নিজস্ব প্রতিবেদক,প্রাপকনিউজ
যশোর: জুলাই অভ্যুত্থানে যশোরের জাবির ট্রাজেডিতে নিহতদের শহিদের স্বীকৃতি নিয়ে বির্তক নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শহীদ পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার দুপুরে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে এই মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন থেকে জাবীর ট্রাজেডি নিয়ে শহীদদের র্ব্তিক করতে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিককে  প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদও জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, দেশের প্রতি দায়বন্ধতার জায়গা থেকে তাদের সন্তানের জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিজয় মিছিলে যোগ দেয়। সেই মিছিল থেকে হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে আগুন লাগলে আটকে পড়াদের উদ্ধারে যায়। তারা কোন লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নয়। হোটেল জাবিরে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৪ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজন বিদেশি, ১৩ জন ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশার মানুষেরা ছিলেন। এক বছর পর এসে শহিদদের লুটপাটকারী ও সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা। সন্তানের স্বীকৃতি দাবি করেছেন তারা। একই সাথে এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
এ সময় নিহত আবরার নীলের মা জেসমিন আক্তার অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার নয় বছরের বাচ্চা কিভাবে দুর্বৃত্ত হলো? সে তো গিয়েছিল মানুষকে সাহায্য করতে। আগুন নেভাতে গিয়ে পুড়ে মারা গেছে। ও ছিল নিষ্পাপ শিশু। তাকে নিয়ে আর রাজনীতি করবেন না। তাকে লুটকারির কলঙ্ক দেবেন না। এই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শহীদদের স্মৃতিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা। গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের বিতর্কিত করতে এবং আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের সাবেক আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘জাবির ট্রাজেডিতে একজন বিদেশী নাগরিক শহিদ হয়েছেন। কিন্তু রাষ্ট্র তাকে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আন্তর্জাতিকীরণের সুযোগ ছিল বিদেশী নাগরিক স্বীকৃতির মধ্যদিয়ে। কিন্তু রাষ্ট্র সেটি করেনি। রাজপথে আন্দেলন সংগ্রামের সাথীরা জাবির ট্রাজেডিতে নিহত হয়েছে। তাদের স্বীকৃতি নিয়ে তালবাহানা দুঃখজনক।’ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শহীদ ইউসুফ আলীর মা শাহীনা খাতুন, শহীদ সোহানুর রহমান সোহানের বাবা আনোয়ার হোসেন লাল্টু। এসময় নিহতদের-আহত পরিবারের সদস্য ও জুলাই বিপ্লব আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান ও ডিসি অফিস চত্বরে প্রথম আলো ও যশোরের দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিকায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, জাবির ট্রাজেডির ঘটনায় শাহীন চাকলাদারের ভাই তৌহিদ চাকলাদার বাদী হয়ে ওই বছরের আগস্ট মাসেই ২০০জন অজ্ঞাত আসামির নামে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদান্তধীন রয়েছে। এই মামলাটি নিয়েও জুলাই যোদ্ধা ও নিহতের পরিবারের ক্ষোভ রয়েছে। ভবিষতে মামলাটি উল্টো জুলাই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারেন বলেও আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

Leave a Reply

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram